আপনার বুড়ো আঙুল আপনার সম্বন্ধে কি বলছে? বুড়ো আঙুল সবাই বলে মানুষ চেনা দায়, আসলে এ কথা কি ঠিক? হস্তরেখা বিচার পদ্ধতি বলছে এ কথা মোটেই ঠিক নয়| আপনি যখনই কোন মানুষের সঙ্গে হাত মেলাবেন তখনই আপনি বুঝতে পারবেন মানুষটি কেমন| কি বিশ্বাস হচ্ছে না? না হওয়ারই কথা। তাহলে দেখে নিন কি-ভাবে মানুষের বুড়ো আঙুল তার গোপন কথা বলে দিতে পারে। যদি জানতে চান, আপনার বুড়ো আঙুল আপনার সম্বন্ধে কি বলছে? তাহলে নিচের লেখাগুলো সম্পূর্ণ পড়ুন। হাতের রেখা বিচার পদ্ধতিতে শুধু হাতের রেখাই নয়, হাতের আঙুলগুলির ভুমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। হাতের প্রতিটি আঙুল মানুষের জীবনে আলাদা আলাদা প্রভাব ফেলে থাকে। হস্তরেখা বিচার পদ্ধতিতে এই কারণে আঙুল দেখে মানুষের ভবিষ্যৎ,স্বভাব, চরিত্র বিচার করা হয়। আঙুল বিচারের পরেই হস্তরেখার বিচার করে ঐ ব্যক্তির সমস্যাগুলোর সম্বন্ধে নির্নয় করা হয় এবং তার সমাধানের পথ বলে দেওয়া হয়| হাতের আঙুল গুলোর সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ন আঙুল বৃদ্ধাঙ্গুল বা বুড়ো আঙুল। হস্তরেখার জটিল গণনা পদ্ধতি গুলি বাদ দিলে, শুধুমাত্র বুড়ো আঙুল দেখে, সহজ কিছু গণনা পদ্ধতি দ্বারা অনেক ফলাফল বর্ণনা করা যায়| যেমন মানুষের বুড়ো আঙুল মানুষের ব্যক্তিত্বের নির্দেশ করে| প্রত্যেক মানুষের বৃদ্ধাঙ্গুলির বায়োমেটিক পিন্ট আলাদা আলাদা হয়ে থাকে| বৃদ্ধাঙ্গুলি দুটি পর্ব ও তার সাথে নখের বিচারও করতে হবে, কোন মানুষের হাতে বুড়ো আঙুল বড়, কারোর ছোট, কারোর কদর্য, কারোর গদার আকৃতি, কারোর চ্যাপ্টা, ইত্যাদি ইত্যাদি| বৃদ্ধাঙ্গুলি আলাদা আলাদা গঠনের কারণে মানুষের চরিত্র আলাদা আলাদা হয়ে থাকে| যেমন কেউ আবেগপ্রবণ, কেউ কল্পনাপ্রবণ, কেউ যুক্তিবাদী, কেউ রুচিশীল, আবার কেউ নীতিহীন। গবেষণা অনুযায়ী নিউরো সায়েন্স বলছে, মানুষের শরীরের কোন অংশে প্যারালাইসি হওয়ার সামান্য সূচনা হলেই তার আভাস পাওয়া যায় হাতের বুড়ো আঙুল পরীক্ষা করে। আবার শিশুর জন্মের ২/৩ দিন পর যদি বুড়ো আঙুল যদি অন্য আঙুল গুলো দিয়ে সব সময় ঢেকে রাখে, তাহলে বোঝা যায় যে শিশু দুর্বল। ৭/৮ দিন পর যদি একই রকম অবস্থায় থাকে তাহলে বুঝতে হবে শিশুর মানসিক শক্তিও দুর্বল। আবার স্বাভাবিক দুর্বল বৃদ্ধাঙ্গুলির মানুষেরা মনের দিক থেকে নরম হয় আত্মবিশ্বাস কম থাকে বৃদ্ধ মানুষের মানসিক শক্তির সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধাঙ্গুলি দুর্বল হতে থাকে,আবার মানুষের মৃত্যু যখন কাছাকাছি চলে আসে তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি ভেতরের দিকে হেলে যায় এবং নিস্তেজ হয়ে নেতিয়ে পরে। যার বৃদ্ধাঙ্গুল কদর্য ধরনের দেখতে হয়, এবং স্বাভাবিকের থেকেও ছোট ও মোটা সেই ব্যক্তি স্বল্প বুদ্ধি সম্পন্ন মানসিক ভাব ধারায় পশুবৃত্তি, ইতর, প্রজাতির হয়ে থাকে। যাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি লম্বা ও সুগঠিত তারা বুদ্ধিমান ও মার্জিত রুচি সম্পন্ন। অতিরিক্ত ছোট ও মোটা বৃদ্ধাঙ্গুলের মানুষ অত্যন্ত গোয়ার প্রকৃতির, সে কোন বিবেক বুদ্ধির ধার ধারে না। বৃদ্ধাঙ্গুলির দুটি পর্ব , উপরের পর্ব ইচ্ছা শক্তি , নিচের পর্ব যুক্তি এবং তার নিচের অংশ শুক্রের ক্ষেত্র প্রেমের নির্দেশক। প্রথম পর্বটি বেশি বড় হলে তারা নিজের মনের জোরে বা ইচ্ছা শক্তির দ্বারা সমস্ত কাজ করে থাকে তিনি যুক্তির কোন ধার ধারেন না, এদের দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির থাকার কারণে এরা অনেক সময় অসাধ্য কাজও করে ফেলতে পারে, দ্বিতীয় পর্বটি বড় হলে তিনি ধীর, স্থির, বুদ্ধিমান ও চরম যুক্তিবাদি কিন্তু ইচ্ছাশক্তির প্রচন্ড অভাব এবং কর্মে দৃরতাও থাকে না। প্রেমিক প্রেমিকা চেনার জন্য নমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলের সাথে, বৃদ্ধাঙ্গুলের নিচে শুক্রের ক্ষেত্র যদি দীর্ঘ হয় আর বৃদ্ধাঙ্গুল যদি ছোট হয় তাহলে তারা অতিরিক্ত মাত্রায় আবেগ প্রবণ ও ইন্দ্রিয়াসক্ত হন। আসলে কথা সাইকো টাইপ, এই অংশের বিকল্প নাই ! তারপর দেখতে হবে বৃদ্ধাঙ্গুলটি নমনীয় না অ-নমনীয় ! নমনীয় হলে বৃদ্ধাঙ্গুল সহজেই সামনে পেছনে বাকানো যাবে, আর অ-নমনীয় হলে ষ্টিলের মতো দাঁড়িয়ে থাকে বাকানো যায় না। যাদের নমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুল সহজে বাকানো যায় তারা অত্যন্ত বেশি খরচ করে শুধু অর্থই নয় তারা সব কিছুর দিক থেকেই অমিত ব্যায়ী এরা কোন কিছুর পরিনাম চিন্তা না করেই সময় অর্থ অপচয় করে মনের দিক থেকে নরম প্রকৃতির হয় তাই যে কোন পরিবেশে যে কোনো পরিস্থিতিতে মানিয়ে নিতে পারে। আর যদি অনমনীয় হয় চাপ দিয়ে সহজে বাকানো যায় না ষ্টিলের মতো দাঁড়িয়ে থাকে, এরা চরম বাস্তব বাদী, বুদ্ধি মান, সাধারণত এদের বেশিরভাগ মানুষই জীবনে উন্নতি করতে পারে তাদের চারিত্রিক দৃরতার কারণেই। এরা সমস্ত কাজে খুব ধীরে ধীরে অগ্রসর হয় আর সুযোগের অপেক্ষায় থাকে সুযোগও পায় এবং এগিয়ে যান। সমাজের নিম্ন শ্রেণীর থেকে শুরু করে উচ্চ শ্রেণীর সকল ক্ষেত্রেই দূর্দমনীয় বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক হয় এই অ-নমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলের মানুষ !
0 মন্তব্যসমূহ